উপন্যাস

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল PDF | Indubala Vater Hotel book বই রিভিউ

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল PDF | Indubala Vater Hotel book বই রিভিউ 

আসসালামু আলাইকুম ।  পাঠকগণ আশা করি সকলেই ভাল আছেন।  আজকে আপনাদের জন্য নতুন একটি পিডিএফ বই নিয়ে এসেছি।  বইটি হচ্ছে গিয়ে  ইন্দুবালা ভাতের হোটেল।  ইনভার্টার হোটেল পিডিএফ বইতে আমাদের কাছ থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল 

জানালার কাছে বসন্তের নরম রোদে শাট দিয়ে সাজানো আছে গাছের বড় বড় বয়াম।  ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের পট্টি দিয়ে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বুঝা যায় না তার মধ্যে লুকিয়ে আছে।কিন্তু যারা এ বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে।

ভাতের পাতে  লেবু,  নুন,  লংকা দেয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকানো সম্পদ।  কামরাঙা, কতবেল , জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায় । আর পুরানো লোকেরা ভাবে আজ কোনটা পাতে আসবে?

শুধু  আচারের টানে না,  এই হোটেলে  ভিড় লেগে থাকে পুরো বাংলার এক বিধবা মহিলার হাতের রান্না খেতে।   ইন্দ্র বালা কবে যে এই ভাতের হোটেল শুরু করেছিলেন আর কে করেছিলেন নিজেও ঠিক মনে করতে পারেন না।  শুধু ভাসাভাসা ছবির মত মনে পড়ার অনেক কিছু।

শুধু সেবার যখন এক মেয়ে আর ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে বিধবা হলে।  সেদিন থেকে বুঝতে শুরু করেছিলেন যারা এতদিন বিরক্ত তাদের।  সুযোগ-সুবিধা টা ঠিক আদায় করে নিয়ে যেত তারাই এখন ছায়ার মত সরে যাচ্ছে।  স্বামীর জুয়া আর  মদের নেশায় এতদিন যারা  আট কপাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিল তাদেরও আর দেখা গেল না বড় একটা।

তখনো খুলনা থেকে মাঝে মাঝে ভাইরা এসে খোঁজখবর নিতো। মা পোটলা করে পাঠাতো ভাজা চিড়ে, মুড়ি,  বাড়ি সজনের ডাঁটা,  চুইঝাল। তারপর সেটাও বন্ধ হল। যুদ্ধ বাঁধলো ।  ভাইদের অনেকদিন কোন খোঁজ পেলেন না।  একদিন সকাল বেলায় গায়ের থেকে পালিয়ে আসা এক লোক  এর কথায় জানতে পারলাম পুড়িয়ে দিয়েছে সব পাকিস্তানি মিলিটারিরা।

মা,  ভাই বোন,  আর কেউ বেঁচে নেই।  এমনকি  ভিটেবাড়ি টাও।  স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা যেদিন  উড়লো । ইন্দুবালা নীচের ঘরে ঝাঁটা দিয়ে উনুনে আগুন ধরাল। ভাড়ারে চাল ছিলো বাড়ন্তে। ছেলে মেয়েগুলা ক্ষিদের জ্বালায় তারস্বরে কাদছিল। পাওনাদার দাড়িয়েছিলো রাস্তায়। লছমি মাছওয়ালী শেষ বাজারে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছিলো।আরর থমকে দাড়িয়ে পড়েছিল পুরনো দোতলা বাড়ির সামনে। একটা বছর পচিশের মেয়ে সদ্য বিধবারর সাদা ধবধপে শাড়িতে এলো চুলে চুপ করে বসে আছে ধরে ওঠা  উনুনটার সামনে।

উনুনের গুলের আছে ফর্সা মেয়ের মুখ লাল হয়ে আছে।  এদিকে দূরে দাঁড়িয়ে আছে  চিল শকুন এর মত  পাওনাদাররা।লছমীর যেন কি একটা মনে হয়েছিল সেই মুহূর্তে।  একটু সময় নষ্ট করেনি সে।  রোজা এসে দাঁড়িয়েছিল ইন্দুবালার সামনে। গেট থেকে আটানা বের করে মেঝের উপর রেখে দিয়ে বলেছিল “আজ তোমার বাড়িতে দুটো বাদ দেবো মাঝি। কচু মনে  করোনা।  12:25 এর ক্যানিং  লোকাল চলে গেল যেন। এখন দুটো পেটে না পড়লে বাড়ি ফিরতে সাঝ হয়ে যাবে। আর শলীল চলবে না মাজি। ”

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল PDF

আজ এ পর্যন্তই।  সম্পূর্ণ উপন্যাসটি পড়তে নিচে দেওয়া ডাউনলোড বাটন থেকে ডাউনলোড করে ।  আশা আশাকরি বইটি  আপনাদের ভালো লাগবে ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button